পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
খ) প্রয়োজনীয় উপকরণ
(গ) কাজের ধারা
১. এই ক্ষেত্রে প্রথমে প্রমাণ সাইজের (২০-৩০ কেজি) বাঁশের ঝুড়ির ভিতরের দিকটা প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে সেলাই করে মুড়ে দাও। চটের কিছু অংশ বাড়তি থাকবে।
২. চট দিয়ে মোড়ানোর পর ঝুড়ির ভিতরে এমনভাবে হোপলার পাটি বিছিয়ে দাও যাতে হোগলার কিছু অংশ বাড়তি থাকে।
৩. হোগলার উপর আর এক প্রস্থ প্লাস্টিকের বস্তা পূর্বের ন্যায় সেলাই করে দাও।
৪. এবার সেলাই করা প্লাস্টিকের উপর পাতলা পলিথিন শিট বিছিয়ে দাও ।
৫. প্রথমে পলিথিন শিটের উপর এক স্তর বরফ রেখে গলদা চিংড়ি সাজিয়ে দাও। এর পর ভাঁজে ভাঁজে বরফ ও গলদা চিংড়ি স্তর সাজিয়ে উপরে অতিরিক্ত বরফ দিয়ে বাড়তি চট, হোগলা ও পলিথিন শিট এক সাথে মুড়ে ঝুড়ির মুখ বাঁধো
৬. এই ধরণের ঝুঁড়ির ক্ষেত্রে ঝুড়ির তলায় বরফ গলা পানি বের হয়ে যাওয়ার জন্য ছিদ্র থাকে। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশের ঝুড়িতে গলদা চিংড়ি পরিবহনের সময় ছিদ্র না থাকার কারণে বরফ গলা পানি সমস্যা সৃষ্টি করে।
৭. এই পদ্ধতিতে ঝুঁড়ির তলার পলিথিন, হোগলা ও প্লাস্টিকের চট ছিদ্র করে ১ সে.মি. ব্যাসের ২ ফুট লম্বা একটি প্লাস্টিকের নল ঢুকিয়ে শক্ত করে বেঁধে দাও। এবার নলের অপর প্রান্ত বাঁকিয়ে ঝুড়ির উপরের দিকে এক প্রান্তে বেধে রাখো।
৮. এইভাবে বরফ দেয়া গলদা চিংড়ি ২৪ ঘণ্টা পুনরায় বরফ না দিয়েও গুণাগুণ যথাযথ রেখে সংরক্ষণ করা যায়। প্রতি ২৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর একবার করে গলদা চিংড়ি উপর সামান্য বরফ দাও।
সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
আধুনিক পদ্ধতিতে বরফ দ্বারা গলদা চিংড়ি সংরক্ষণ কৌশল প্রয়োগ করার বিষয়ে দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
আরও দেখুন...